Vice Principal

উপাধ্যক্ষর বাণী

প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি তোলারাম কলেজ ৷ দেশ বরেন্য রণদা প্রসাদ সাহা, মাখন লাল ও শেঠ তোলারাম বসরাজ এর অর্থানুকূল্যে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত অধ্যক্ষ জ্ঞান তাপস খগেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ৷ তাঁদের অসামান্য অবদান ও নিরলস প্রচেষ্টার ফসল আজকের বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সরকারি তোলারাম কলেজ ৷

শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এ কলেজে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে লেখাপড়ার মনোযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে একাদশ-দ্বাদশ ও ডিগ্রি পর্যায়ে ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ৷ তাছাড়া কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদানের ফলে প্রতি বছর বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হচ্ছে ৷ কলেজের দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এ ধরনের  আশানুরূপ ফলাফল হচ্ছে ৷     

জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলো যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা ছাড়াও কলেজে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চার মনোরম পরিবেশ রয়েছে ৷ এ লক্ষ্যে ‘উচ্ছ্বাস সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী” সুস্থ শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার ধারা অব্যাহত রেখেছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি কলেজে প্রতি বছর আন্তঃ ও বহিঃ ক্রীড়া এবং শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের খেলাধুলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৷

কলেজে বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট ও রেঞ্জারের মতো সেবামূলক সংগঠন রয়েছে৷প্রতি বছর কলেজে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়৷ কলেজের বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট ও রেঞ্জার সদস্যরা সার্বিকভাবে সহায়তা করে থাকে ৷

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৄক প্রদত্ত দুটি বাস কলেজের শিক্ষার্থীদের কলেজে আসা যাওয়ার সুবিধার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে ৷ এতে করে দূর দূরান্তের অনেক ছাত্র-ছাত্রী এ কলেজে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে ৷ কলেজে অবকাঠামোগত চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাম একাডেমিক ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে  ৷ কিছুদিনের মধ্যে একটি ১০ তলা ব্যবসায় শিক্ষা ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হবে ৷ তাছাড়া বিজ্ঞান ভবনের বর্ধিতাংশের কাজ অচিরেই শুরু হবে বলে আশাবাদী।

কলেজে রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ছাত্রী নিবাস ৷ নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলার ছাত্রীরা এখানে থেকে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে ৷ এ কলেজে রয়েছে শিক্ষার সুন্দর ও সাবলীল পরিবেশ ৷ শিক্ষক, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীদের অভিপ্রায় প্রতিষ্ঠানটি একদিন অবশ্যই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।